গাভী পালনঃ (আদর্শ দুধ উৎপাদনশীল গাভীর বৈশিষ্ট্য)
প্রাথমিক তথ্যঃ একটি আদর্শ গাভীর যেসব বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। গাভী পালন আমাদের দেশে বেশ লাভজনক। গাভী পালন করে অতি সহজেই লাভবান হওয়া যায়। তবে একটি আদর্শ গাভীর কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যেগুলো দেখে আমরা একটি আদর্শ গাভী শনাক্ত করতে পারি। আজ চলুন জেনে নেই একটি আদর্শ বা উৎপাদনশীল গাভীর যেসব বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে সেই সম্পর্কে-
চিত্রঃ১ উৎপাদনশীল গাভীর বৈশিষ্ট্য |
👉 মাথাঃ মাথা হালকা ও ছোট আকারের হবে। কপাল প্রশস্ত ও চোখ উজ্জল হবে। অধিক খাদ্য গ্রহনে আগ্রহী হবে।
👉 দৈহিক আকারঃ দেহের সামনের দিক হালকা ও পেছনের দিক ভারী ও সুগঠিত হবে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সমূহ সামাঞ্জস্যপূর্ণ ও সুসংগঠিত হবে। দৈহিক আকার আকর্ষনীয় হবে। শরীরের গঠন ঢিলা হবে।
👉 পাঁজরঃ পাঁজরের হাড় সুস্পষ্ট অনুভব করা যাবে। হাঁড়ের গঠন সামাঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
👉 চামড়াঃ চামড়া পাতলা হবে। চামড়ার নীচে চর্বির বাহুল্য থাকবে না। লোম মসৃন এবং চকচকে হবে।
👉 ওলানঃ গাভীর ওলান হবে বড় ও সুগঠিত। দেহের সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ ও সুসংগঠিত হবে। পেছনের দুই পায়ের মধ্যবর্তী স্থান প্রশস্ত হবে। বাট গুলি একই আকারের হবে। ৪টি বাট সমান দূরুত্বে ও সমান্তরাল হবে।
👉 দুগ্ধশিরাঃ দুগ্ধশিরা মোটা ও স্পষ্ট হবে। তলপেটে নাভীর পাশদিয়ে আঁকাবাকা ভাবে বিস্তৃত থাকবে।
চিত্রঃ২ উৎপাদনশীল গাভীর বৈশিষ্ট্য |
👉একটি আদর্শ গাভী প্রত্যেক বছর একটি করে বাচ্চা দিবে।
👉একটি আদর্শ গাভী বছরে কমপক্ষে ৩০৫ দুধ দিবে।
👉একটি আদর্শ গাভী বাচ্চা প্রসবের ৩২-৩৬ দিনের মাঝেই প্রথম ডাকে আসে।
👉একটি আদর্শ গাভী বাচ্চা প্রসবের ৮৪ দিনের মধ্যেই আবার গর্ভধারণ করবে।
👉একটি আদর্শ গাভী তার পুরো জীবনে কমপক্ষে ৮ বার বাচ্চা প্রসব করবে।
👉বাছুরের ক্ষেত্রে- একটি আদর্শ বাছুর ১৪-১৮ মাসের মাঝেই গর্ভধারণে সক্ষম হবে।
চিত্রঃ৩ উৎপাদনশীল গাভীর বৈশিষ্ট্য |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন